দুর্বল ব্যাংক গুলোকে ঋণ দিয়ে সহায়তা করবে সবল ব্যাংক গুলো।
৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর অনেক ব্যাংক থেকে অনেক টাকা লুটপাত হয়। এতে অনেক গুলো ব্যাংক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক গুলো এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও শক্তি শালী ইসলামীক ব্যাংকের অবস্থা অনেক খারাপ। মানুষের আমানত দিতে পারছে না এই ব্যাংক গুলো। বাংলাদেশের ব্যাংক থেকে জানা গেছে যে মোট ৯ টি ব্যাংক থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে।
যে ৯ টি ব্যাংকে টাকা ঘাটতি রয়েছে তা হলোঃ ১। ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক ৭ হাজার ২৬৭ কোটি টাকা, ২। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ৩ হাজার ৩৯৪ কোটি টাকা, ৩। ন্যাশনাল ব্যাংক ২ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা, ৪। ইউনিয়ন ব্যাংক ২ হাজার ২০৯ কোটি টাকা, ৫। ইসলামী ব্যাংক ২ হাজার ২০১ কোটি টাকা, ৬। ৩৮০ কোটি টাকা, ৭। পদ্মা ব্যাংক ২৩৮ কোটি টাকা, ৮। আইসিবি ইসলামীক ব্যাংক ৯৬ কোটি টাকা, ৯। গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ৩৯ কোটি টাকা।
এই ৯ টি ব্যাংক থেকে সর্বমোট ১৮ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক দুর্বল ব্যাংক গুলো সাথে একটি সমঝোতা চুক্তি করে। যেটি মধ্যে ছিল ন্যাশনাল ব্যাংক, ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
এই ব্যাংক গুলো আর্থিক সমস্যা নিয়ে গভর্নর ১০ টি সবল ব্যাংক সাথে বৈঠক করেন। গভর্নর বৈঠকে বলেন এই আর্থিক সমস্যা ব্যাংক গুলোকে ঋণ দিয়ে সহায়তা করতে। কিন্তু কোন ব্যাংক রাজি হয় না ঋণ দিতে এখানে গভর্নর বলেন ঋণ দেওয়ার পর কোন সমস্যা হলে তিন দিনে মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ফেরত দেওয়া হবে। পরবর্তীতে রাজি হয় সবল ব্যাংক গুলো ঋণ দিতে দুর্বল ব্যাংক গুলোকে।
বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে ঋণের পরিমান কোন ব্যাংক কত টাকা ঋণ নিতে পারবে তার উপর ভিত্তি করে। বাংলাদেশ ব্যাংক এটাও বলেন আর্থিক সমস্যা ব্যাংক গুলো সুধু প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবসা থেকে ঋণ নিতে পারবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Enter your comment